আজ আমরা যারা মানুষ পৃথিবীতে আছি তারা জানি যে পৃথিবীতে অনেক যুগ পেরিয়ে এই মানুষ মানুষের মতো রূপ পেয়েছি । আজ থেকে ৬.৫ কোটি বছর পূর্বে মেরুদণ্ড প্রাণীর আবির্ভাব হয় তার কতো পরে আস্তে আস্তে যুগের পর যুগ পার হয়েছে ।শিল্পাঞ্জি থেকে গ্রিলা তার থেকে আদিম মানুষ তার থেকে একটু উন্নত মানুষ তার পর তার থেকে আমরা এই আধুনিক যুগের আধুনিক মানুষ । এটাই হল পরিবর্তনশীল যুগে মানুষের পরিবর্তন । 2023 সাল , মানে এই যুগ এক কথায় পরমাণুর যুগ । সকলের হাতে মানে সকল দেশের হাতে এত বেশী পরমাণু রয়েছে , সব দেশ একসাথে সব যদি বিস্ফোরণ করে দেয় তবে ৫ মিনিট লাগবে পৃথিবী ধংস হতে । তাহলে ভাবুন এত উন্নত হচ্ছে এই যুগ । আমাদের ভারতবর্ষ উন্নতির শিখরে পৌছে গেছে ।
আশাকরি আমরা এবার এই পরিবর্তনশীল যুগের শেষ পর্যায়ে পৌছে গেছি । হয়তো আর যুগ পরিবর্তন হবে না । কারন একটা যুগ যখন শেষের দিকে গিয়ে নতুন যুগের সুচনা করে তখন সেই যুগের সমস্ত প্রাণীর মধ্যে উন্নতি লক্ষ করা যায় । তারা আরও উন্নত হবে তাদের মানসিক চিন্তা ভাবনার বিকাশ ঘটবে । কিন্তু এই যুগে এসে আর উন্নতি দেখতে পাওয়া যাচ্ছেনা । যতো দিন যাচ্ছে যুগ শেষের দিকে যাচ্ছে মানুষের বিকাশ শক্তি ক্ষীণ হয়ে যাচ্ছে । এখন হল 2023 সাল । উনবিংশ দশকে আমরা যা ভুল করেছি সেই ভুল আজও আমরা করে যাচ্ছি । মেয়েরা আগে যেমন অসহায় ছিলো তেমনি অসহায় আজও আছে । কিচ্ছু বদলায় নি । শুধু যুগ পরিবর্তন হচ্ছে কিন্তু মানসিকতার কোন পরিবর্তন হইয়নি । মানুষ ভুলে যাচ্ছে যে মেয়েরাও মানুষ ।মানুষ উন্নতি করলেও মানুষ তার মানষিকতার উন্নতি করতে পারেনি। মানুষ শুধু টাকার খোঁজ করতে করতে উন্নতি করেছে যার জন্য মানসিকতাও আগের মতো রয়ে গেছে । যার জন্য আজও ভারতবর্ষের বহু জায়গাতে বধু নির্জাতন , স্বামী স্ত্রী এর মধ্যে ঝামেলা , মেয়েদের কে বার বার ছোটো করে দেখা , কোনোনা কোনো ভাবে কোথাও না কোথাও মেয়ে দের কে অপমানিত করা হচ্ছে । social media , face book , twitter সব জায়গা থেকে মহিলা দের হেনাস্থার ছবি উঠে আসে।
কিন্তু না সে কথা কারো মনে নেই । এই পৃথিবীতে মানুষকেই উন্নত বলা হয় কিন্তু মানুষ আদও কি মানসিক দিক থেকে উন্নতি লসভ করতে পেরেছে । মানুষ পেরেছে একটা সমাজ গঠন করে তার মধ্যে থাকতে , অন্য প্রাণীরা যা পারেনি । কিন্তু মানুষ সমাজের সাথে সাথে উন্নতির স্বার্থে এমন কিছু নিয়ম চাপিয়ে দিয়েছে যার ফলে বাইরে থেকে উন্নতিশীল মনে হলেও ওই সমাজের মধ্যে থাকা কিছু জন খুব অসহায় হয়ে পরেছেন যাদেরকে এই উন্নয়নশীল মানুষ নারী নামে কলঙ্কিত করেছেন । মানুষ তাদের উন্নতি করার নেশাতে কাজে লাগিয়েছে । কিন্তু মানুষ ভুলে গেছে তাদের জন্যই আজ মানুষ উন্নত। আমরা সবাই জানি (+) আর (-) এই দুই এনার্জি সমপরিমাণ হলে সমতা বজায় থাকে না হলে সেই বস্তু বা সেই অবস্থা উত্তেজিত হয়ে ধংস করে দেবে । সেই রকম নারী আর পুরুষ একসাথে সমান ভাবে না থাকলে সমাজ ধংস হয়ে যাবে । কিন্তু এই কঠিন সত্য না বুজে কিছু মানুষ এই নারীদের অবহেলা করে চলেছে। এর পরিণাম কি ভয়ংকর হতে চলেছে সেটা এখনো বুজে উঠতে পারছে না মানুষ । নিজেদের ধংস লীলা তে নিজেরাই শেষ হতে চলেছে। নারী আর পুরুষ যদি সমান না হয় তাহলে এই সমাজ শেষ হবেই। এই যুগ, এই আধুনিক যুগ খুব শিগ্রিই শেষ হয়ে যাবে। এখনো সময় আছে নিজেদেরকে শোধরানোর ।
স্বামী মারা গেলে তার যে স্ত্রী আছে তাকেও মরে যেতে বলা হয় সতী হবার জন্য । একে সতীদাহ প্রথা বলে । এক জীবন্ত মহিলা কে পুড়িয়ে ফেলতে বলছে সমাজ , কারন শুধু টাকা পয়সা হাতানোর জন্য । একা এক মেয়ে সে এই সব কিছু বুজতে না পেরে সে তার স্বামীর চীতায় জ্বলে মরতে চলে যায় । সতীদাহের কথা শুনলেই গা শিউরে উঠে । ভাবুন কতো নির্মম হত্যা । বর্তমানে এই প্রথা নিষিদ্ধ । কিন্তু এই প্রথা নিষিদ্ধ হলেও মেয়েদেরকে বিভিন্ন ভাবে হেনস্থা করা হয় । এই জন্য অনেকে বলেন মেয়ে দের ইহকাল আর পরকাল বলে কিছু হয় না । সেই সতীদাহ প্রথার সময়কালে যেমন বাড়িতে বন্দি করে রাখতো এখনো অনেক জায়গাতে মেয়ে দের কে বন্দি করে রাখা হয় । কিছু শুভবুদ্ধি মানুষের জন্য মেয়েরা সম্মানে উপরে উঠলেও তাদের অপমান করতে কেউ কম যায়না ।
একটা পরিবারে শুধু পুরুষদের সম্মান না দিয়ে নারীদেরও সমান সম্মান দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। একটা মেয়ে যদি কোথাও অপমানিত হয় তাহলে তাকে সেই খান থেকে চুপিচুপি না নিয়ে এসে , পরিবারটাকে কি ভাব্বে সমাজ জানতে পারলে টা না ভেবে ওই নারীকে সম্মান স্বরূপ তার সম্মান দিন , তাতে দেখবেন সমাজ আর যুগ আবার বৃদ্ধির সাথে না বিকাশের সাথে উন্নত হবে । এই সমাজের মানুষের মানসিকতা পরিবর্তন না এলে মানুষ যতই উপরে উঠুক সমস্যার সমাধান কিছুতেই হবে না । সমাজের জাঁতাকলে ঠিক পেশাই হতে হতে নারীদের জীবন শেষ হতে থাকবে ।।
No comments:
Post a Comment